নিজস্ব সংবাদদাতা: আত্মহননের পথ বেছে নিলেন জনপ্রিয় বাংলা রকব্যান্ড ‘ফসিলস’-এর প্রাক্তন সদস্য চন্দ্রমৌলী বিশ্বাস। রবিবার সন্ধ্যায় ‘ফসিলস’ এর এই প্রাক্তন বেসিস্ট-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। চন্দ্রমৌলীর ব্যান্ডের অপর এক সদস্য মহুল চক্রবর্তী তাঁর দেহটি প্রথম দেখতে পান। চন্দ্রমৌলী তাঁকে দেখা করতে বাড়িতে ডেকেছিলেন। তিনিই পুলিশ এবং প্রতিবেশীদের খবর দেন। বাড়িতে চন্দ্রমৌলীর পরিবারের কেউ ছিলেন না সেই সময় পরিবারের কেউ ছিলেন না বাড়িতে। একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। মহুল বলেন, “বাড়িতে আসার আগে অনেকবার ফোন করার পরেও চন্দ্রমৌলী ফোন ধরেননি। ওঁর জন্য চিন্তা হতে শুরু হয়। বাড়িতে পৌঁছতেই চন্দ্রমৌলীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই।” তারপর থেকেই সমাজমাধ্যম জুড়ে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর লেখালিখি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও বক্তব্য উঠে এসেছে শিল্পীমহলে। গতকাল রাতে চুপ করে থাকলেও এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন রূপম ইসলাম। সমাজমাধ্যমে চন্দ্র-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, না-বলা কথা ভাগ করে নিলেন রূপম। প্রকাশ্যে আনলেন চন্দ্রমৌলির সঙ্গে তাঁর শেষ কথোপোকথন-ও।
‘রকস্টার’ জানিয়েছেন, ‘চন্দ্র’-র সঙ্গে তাঁর যখনই কথা হত, সেই আলোচনা যেমন ছিল সৃজনশীল বিষয়ে মোড়া তেমনই জুড়ে থাকত নানান দর্শন। ‘আদমের সন্তান’, ‘আমি তোমায় ভালবাসি’-এর মতো তাঁর যেসব গান সবথেকে কঠিন, জড়িয়ে গভীর দর্শন, সেইসব তিনি চন্দ্রের সঙ্গে বসে তৈরি করবেন বলে আলাদা করে তুলে রেখেছিলেন রূপম। আরও জানালেন, তাঁদের গান নিয়ে বসার কথা হয়েছিল। একটু সময় চেয়েছিলেন চন্দ্রমৌলি। লিখলেন, “এইসব গান একমাত্র তুই-ই সুর তুলতে পারতিস। তুই সময় চেয়েছিলিস। রাজি হয়েছিলাম আমি ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে। কিন্তু সেই অপেক্ষা আর কোনওদিনও শেষ হওয়ার নয়।
রূপম আরও জানিয়েছেন,কখনও তিনি বই লিখবেন চন্দ্রের সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে। আর তাঁর চন্দ্র’র মৃতদেহ তিনি দেখতে চান না কারণ ‘‘আমি মৃতদেহের মুখে তোকে দেখবো না। তোকে চিনব না এ ভাবে। কারণ তোর হৈ হৈ করা হাসিটাই আমি মনে রাখতে চাই”
